ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০: মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ ৩৮ টি জেলার প্রায় ২৩ হাজার প্রান্তিক পরিবারকে নগদ সহায়তা দিতে শুরু করেছে|
বৃটিশ সরকারের কমনওয়েলথ এবং ডেভলপমেন্ট অফিসের সহায়তায় (এফসিডিও) এক্সক্লুডেট পিপলস রাইটস ইন বাংলাদেশ (ইপিআর) প্রোগ্রামের অধীনে তিনমাসব্যাপী নগদ সহায়তা প্রদান কর্মসূচির এই কার্যক্রমটি পরিচালিত হচ্ছে|
১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই কর্মসূচির প্রথম ধাপে এমজেএফ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৩৮ টি জেলার ২৩ হাজার প্রান্তিক পরিবারকে ৫৭.৫ মিলিয়ন টাকা দিয়েছে এই জেলাগুলোর দারিদ্রপীড়িত এলাকাগুলোতে অনেক বেশি সমাজবিচ্ছিন্ন প্রান্তিক মানুষের বাস|
যে পরিবারগুলো করোনাকালে সামাজিক নিরাপত্তা বলয় কর্মসূচির বাইরে থেকে গেছে, তাদেরই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই নগদ সহায়তা প্রদান কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে| কারা এই সাহায্য পাবেন, তা নির্ধারণ করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে খোঁজখবর নিয়ে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে| স্থানীয় প্রশাসন, কমিউনিটি নেতা এবং এমজেএফ এর ৫৪ টি সহযোগী সংস্থার তরুণ স্বেচ্ছাসেবীদের এই যাচাই-বাছাইয়ের কাজে নিয়োগ করা হয়েছিল|
মূলত গ্রামীণ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যেমন — সমতল ও পাহাড়ের আদিবাসী, চা শ্রমিক, জেলে, সহিংসতার শিকার বিধবা, দু:স্থ এবং প্রতিবন্ধী মানুষ প্রথম ধাপে এই সাহায্য পাবেন|
ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে দলিত জনগোষ্ঠী, যৌনকর্মী এবং এলজিবিটি জনগোষ্ঠীকে এই সামাজিক নিরাপত্তামূলক সহায়তা দেয়া হবে, কারণ তারা অনেকেই এই করোনাকালে সাহায্য সহযোগিতা পান নাই| সাধারণত পরিবারের নারী সদস্যদের হাতেই এই টাকা তুলে দেয়া হচ্ছে| শুধু প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং পরিবারে প্রাপ্তবয়স্ক কোন নারী না থাকলে পরিবারের অন্যরাও এই টাকা গ্রহণ করতে পারবেন|
কয়েকটি ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনায় ১৮ বছরের কম বয়সী শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী শিশু, বাল্যবিয়ের শিকার শিশু, জাতিগতভাবে সংখ্যালঘিষ্ঠ পরিবারের শিশুরা তাদের অভিভাবকদের পক্ষ থেকে এই সহায়তা গ্রহণ করেছে| নগদ টাকা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে গর্ভবতী নারী, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী মানুষদের প্রতি আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে| প্রতিটি কমিউনিটিতে বিতরণ কমিটি এবং অভিযোগ দেয়ার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে|
এমজেএফ এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বৃটিশ সরকারের এই সহায়তা প্রদান উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন,” বৃটিশ সরকারের এই সহায়তা কার্যক্রম প্রশংসা করার মতো| কারণ এর মাধ্যমে ২৩ হাজার প্রান্তিক মানুষ সহায়তা পাচ্ছেন, যারা করোনাকালে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন| আগামী তিনমাস ঠিকমতো চলার জন্য এই অর্থ সহায়তা খুব জরুরি ছিল|”
Leave a Reply