ঢাকা, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০: জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে আরো বেশি করে তথ্যে অধিকার পাওয়ার এবং সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে শিক্ষক, পেশাজীবি এবং একটিভিষ্টদের নিয়ে একটি গবেষণা গ্রুপ গঠন করার জন্য তথ্য অধিকার ফোরাম সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
তথ্য অধিকার ফোরাম আয়োজিত একটি অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বক্তারা বলেন, “ তথ্য অধিকার আইন পাস হওয়ার এক দশক পরে এটি অপরিহার্য হয়ে দেখা দিয়েছে যে আরটিআই আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে তথ্য অধিকার বিষয়ক জ্ঞান, দেশে জবাবদিহিমূলক শাসনকে জোরালো করবে।
তথ্য অধিকার ফোরাম আয়োজিত অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানটি ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য তথ্য জানার অধিকার দিবস উপলক্ষে আজ আয়োজন করা হয়েছে। দিবসটি বিশ্বব্যাপী সার্বজনীন তথ্য জানার অধিকার দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রেখেছেন প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমেদ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এবং ফোরামের আহ্বায়ক শাহীন আনাম। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাসিবুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক এমআরডিআই, ফারুখ ফয়সাল, আরটিক্যাল ১৯, এ এইচ এম বজলুর রহমান, প্রধান নির্বাহী অফিসার বিএনএনআরসি, রেজাউল করিম চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক কোষ্ট, ড. মেঘনা গুহ ঠাকুরতা নির্বাহী পরিচালক আরআইবি, ড ইফতেখারুজ্জামান নির্বাহী পরিচালক টিআইবি, খুশি কবীর সেক্রেটারি নিজেরা করি এবং অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান সাবেক সিইসি তথ্য কমিশন।
এমজেএফ এর পরিচালক নলেজ ম্যানেজমেন্ট ড. রিজওয়ান উল আলম “তথ্য অধিকার আইন সংক্রান্ত গবেষণা কাজ ২০১৯-২০২০” বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপণ করেন। মূলত তথ্য অধিকার আইন নিয়ে যারা গবেষণা করছেন এবং যারা এ্টা নিয়ে কাজ করছেন তাদের মধ্যে বিবলিওগ্রাফি, গবেষণা সারাংশ সব একত্রিত করে একটি অনলাইন নলেজ বেইজ তৈরি করা দরকার।
২০১৯-২০ সালে মোট ১৫ টি গবেষণা কর্ম যেমন স্টাডি, সার্ভে, এসেসমেন্ট, জারনালের লেখালেখি কনফারেন্স পেপার ইত্যাদি করা হয়েছে। তথ্য অধিকার আইন নিয়ে গবেষণা ও এর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কিছু এনজিও ও ব্যক্তির মধ্যেই উৎসাহ দেখা গেছে। উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় করা এইসব ডকুমেন্ট অধিকাংশই ইংরেজীতে লেখা । তবে এগুলোর গবেষণার ব্যাপ্তি ও গভীরতা অনেক বড়। এখানে উঠে এসেছে সাপ্লাই ও ডিমান্ড সাইডের প্রসঙ্গ। যেসব সুপারিশ উঠে এসেছে এরমধ্যে আছে তথ্য কমিশনের গবেষণা এবং কৌশলগত যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানো। সেইসাথে গত ১০ বছরের ভাল উদাহরণ এবং কেস স্টাডি তুলে ধরা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে যৌথ গবেষণা করা।
প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমেদ বলেন এই অনলাইন আলোচনাটি খুবই সময়োপযোগী হয়েছে। এত অল্প সময়ের মধ্যে অনেক আলোচনা হয়েছে। আমরা সবাই আদতে খন্ডিতভাবে আইনটি বুঝি। মানুষকে আরো জানাতে হবে যে তাদের জানার অধিকার কেন দরকার। আমরা সব পেশার মানুষকে সাথে প্রান্তিক জনগণের কাছে গিয়েছি তাদেরকে অবহিত করার জন্য।
এমজেএফ এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন তথ্য অধিকারের অধিকার হচ্ছে এমন একটি মানবাধিকার, যা অন্যান্য অধিকার অর্জনের জন্য জরুরি। সরকারের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার জন্য খুব দরকার। তবে এটাও দু:খজনক যে আমরা এই আইনকে ১০ বছরেও মানুষর সাথে জড়িত করতে পারি নাই। মানুষও সবসময় উত্তর না পেয়ে অনাগ্রহী হয়ে উঠেছে। সেজন্য আমাদের ট্র্যান্সফরমেশাল চেঞ্জ এর জন্য কাজ করতে হবে।
তথ্য অধিকার ফোরাম হচ্ছে সেইসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মিলিত একটি সংগঠন, যারা তথ্য অধিকার আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে সরকারের সাথে কাজ করে আসছে।
Leave a Reply